একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ ও আটকসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পিরোজপুরের সাতজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়েছে।
এ মামলায় পরবর্তী যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্যে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রেজিয়া সুলতানা চমন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন। অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।
আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। আর আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট গাজী এমএইচ তামিম।
২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর এ মামলার তদন্ত শেষে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
সাত আসামির মধ্যে উপজেলার হেতালিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান হাওলাদার ওরফে মান্নান ডিলার (৭৫), আজহার আলী হাওলাদার ওরফে আজু মুন্সী (৮৮), আশ্রাব আলী ওরফে আশরাফ আলী হাওলাদার (৬৭) ও মো. মহারাজ হাওলাদার ওরফে হাত কাটা মহারাজ (৬৮) গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। বাকি দুজন পলাতক। এরমধ্যে গ্রেফতার অবস্থায় মারা গেছেন মো. ফজলুল হক হাওলাদার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ মামলার তদন্ত শুরু হয় ২০১৬ সালের ১২ এপ্রিল। যা শেষ হয় ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর। আসামিদের বিরুদ্ধে অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, হত্যা, গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিরা কনভেনশন মুসলীম লীগ করতেন। স্বাধীনতার পর থেকে তারা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদরুল আলম বলেন, সাত আসামির মধ্যে গ্রেফতারের পর তদন্তকালে মো. ফজলুল হক হাওলাদার মারা যাওয়ায় চার আসামি বর্তমানে কারাগারে আছেন। দুই আসামি পলাতক।
তিনি বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ এনেছে তদন্ত সংস্থা। এ চার অভিযোগে ২৪ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, গুলিতে তিন ব্যক্তি ও এক নারীর স্তনে গুরুতর জখমের ঘটনা রয়েছে।